জেনে নিন নবীনমানুয়া ঈশ্বরচন্দ্র হাই স্কুল এবং প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় ঈশ্বরচন্দ্র জানা মহাশয়ের সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য
1 min readনবীনমানুয়া ঈশ্বর চন্দ্র হাই স্কুল এবং প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় ঈশ্বর চন্দ্র জানা মহাশয়ের সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য
বিদ্যালয়ের সম্পর্কে অজানা তথ্য :
শহরের কোলাহল থেকে বহু দূরে এক সুন্দর মনোরম গ্রাম্য প্রাকৃতিক পরিবেশে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পলাশপাই খালের তীরে নবীন মানুয়া গ্রামে ১৯৪৯ সালে স্থাপিত হয়েছিল অতি ক্ষুদ্র চার শ্রেণী বিশিষ্ট জুনিয়ার হাইস্কুল। জন্মলগ্নে এর কলেবর ছিল অতি ক্ষুদ্র। কিন্তু উদ্যম ও প্রাণ প্রাচুর্যে ছিল ভরপুর। ১৯৫৪ সালে দুই শ্রেণী (পঞ্চম ও ষষ্ঠ) বিশিষ্ট জুনিয়ার হাইস্কুল এবং ১৯৬৫ সালে চার শ্রেণী (পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম) বিশিষ্ট জুনিয়ার হাইস্কুলে অনুমোদিত হয়। দীর্ঘ ৩৫ বৎসর পর মাননীয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় ২০০০ সালের ১লা মে থেকে উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে অনুমোদন পেয়েছে। এরপর নাম বদলে হয় নবীন মানুয়া ঈশ্বরচন্দ্র হাই স্কুল। এই বিদ্যালয় থেকে বহুকৃতী ছাত্র-ছাত্রী নিজেদের জীবন গড়ার পালা শুরু করে পৌঁছে গিয়েছে নিজেদের লক্ষে।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় ঈশ্বরচন্দ্র জানা মহাশয়ের সম্পর্কে অজানা তথ্য :
নবীন মানুয়া ঈশ্বরচন্দ্র হাই স্কুল প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠার পেছনে যাঁর দান অনস্বীকার্য্য তাঁর সম্পর্কে কিছু কথা সমস্ত পাঠককে জানানোর জন্যই এই লেখা। আমাদেরই গ্রাম নিবাসী ছিলেন স্বর্গীয় ঈশ্বরচন্দ্র জানা মহাশয়। যাঁর জন্ম ৫ই আশ্বিন (ইং- ২২শে সেপ্টেম্বর), ১২৯৫ বঙ্গাব্দ এবং মৃত্যু ১৪ই শ্রাবণ ১৩৬৯ বঙ্গাব্দ তারিখে। তিনি এই প্রতিষ্ঠান গঠনের মূল কারিগর। তিনি তাঁর জীবনের সমস্ত সঞ্জয় দান করেন এই মহান প্রয়াস সাফল্য করার উদ্দেশ্যে। তিনি ছিলেন জীবন ধারায় আমাদেরই মত সাধারণ। তাঁর জীবনে চলার পথের সাথী যারা অর্থাৎ স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যা থাকা সত্ত্বেও তিনি এই পূর্ণকর্ম করার সাহস দেখিয়ে ছিলেন। সারা জীবন কীভাবে চলবে সে চিন্তা না করে তিনি ভেবেছিলেন এই বিদ্যালয়ের কথা। যেখান থেকে শুধু নবীন মানুয়া নয় সীতাপুর এবং নদীর ওপারের পলাশপাই গ্রামেরও শত শত ছাত্র ও ছাত্রীরা পেয়েছিল প্রকৃত পাঠ। বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য তৎকালীন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের অনুরোধে এলাকার শিক্ষা প্রসারে তিনি গ্রামের সমূহ ভূ- সম্পত্তি এমনকি বাস্তুভিটাটিও বিদ্যালয়কে দান করে গেছেন।
সীতাপুর আমার গ্রাম টিমের পক্ষ থেকে ওঁনার শিক্ষা প্রসারে র মানসিকতাকে আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই। ওঁনার স্মৃতির প্রতি আমারা গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। ওঁনার পরিবারবর্গের প্রতি আমারা সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
– সম্পূর্ণ তথ্য বিদ্যালয়ের ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সালে প্রকাশিত দীপশিখা থেকে নাওয়া হয়েছে।