বিশ্বকর্ম্মা পূজোয় মেতে উঠেছে বাঙালি, বাঙালিরা কেমন ভাবে কাটায় এই পূজো ? জেনে নিন
1 min readবিশ্বকর্ম্মা পূজোয় মেতে উঠেছে বাঙালি
বিশ্বকর্ম্মা হল দেবতাদের শিল্পী। আবার অনেকের কাছে দেবশিল্পী নামে পরিচিত।
তাঁর মাতা হলেন বৃহস্পতির ভগিনী যোগসিদ্ধা এবং তাঁর পিতা হলেন অষ্টম বসু প্রভাস।
ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে শিল্প মহলে বিশ্বকর্ম্মা পূজা হয়। সমস্ত শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত মানুষ এই পূজো করে। সাধারণত লোহার জিনিসপত্র যে কাজে ব্যবহৃত হয় সেখানেই এই পূজো হয়। বাঙালিদের কাছে এই পূজোর বেশি প্রচলন রয়েছে। বাঙালিরা প্রায় সকলেই বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত থাকে। বাঙালিরা গাড়ির গ্যারেজে, দর্জি, স্বর্ণকার, কর্মকার, ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই দিনের আগে থেকেই চলে পূজোর প্রস্তুতি। সারাবছর কাজের পর নিজেদের দোকান গোছানো ও পরিস্কার করা হয় এই পূজোর জন্যই। সকল ব্যক্তিগণ শিল্পকর্মে নিজ নিজ দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্ম্মার পূজো করে থাকেন।
এর পর ঠাকুর আনা এবং নানান ভাবে সাজানো হয়। এই সাজানোর কাজ সাধারণত নিজেরাই করে থাকে। সারারাত ধরে নানান কাজের পর সকালে হয় এই পূজো। অঞ্জলী দেওয়ার পর হয় প্রসাদ বিতরণ। এই দিনে প্রায় সকল দোকানেই পূজো হয় এবং অনেক দোকানে হালখাতাও হয়ে থাকে। অনেক ক্লাবে এই পূজো ধুমধামে হয়ে থাকে। থাকে নানান অনুষ্ঠান। প্রতিটি বাড়িতে মোটরসাইকেল পরিস্কার করা হয় এবং পূজো দেওয়া হয়। ছোটো ছোটো ছাত্র ও ছাত্রী নিজেদের সাইকেল অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে পরিস্কার করে পুরোহিতের কাছে পূজো দেয়।
অনেক স্থানে এই পূজো উপলক্ষে চলে মেলা। আবার অনেকে স্থানে এই মেলা চলে ৮-৯ দিন ধরে। অনেক গ্রামে ছোটো ছোটো মেলার আয়োজন করা হয়। বিকেল মানেই গ্রামের সকলে দল বেঁধে চলে মেলায়। আর মেলা মনেই নানান কেনাকাটা, খাওয়া দাওয়া, ঘুরাঘুরি, পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে দেখা হওয়া।
রাত্রিতে অনেক দোকানে নানান ভজনের ব্যবস্থা থাকে। পরেরদিন থেকে যথারীতি ভাবে আবার কাজ শুরু হয়। অনেক দোকানে ৩-৪দিন পরেও শুরু হয়। বিশ্বকর্ম্মা পূজা বাঙালিদের কাছে পূজোর আমেজ এনে দেয়।
সীতাপুর গ্রামেও ঠিক এমনই লক্ষ করা যায়। সকল বন্ধুদের জানাই বিশ্বকর্ম্মা পূজোর আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।